তীব্র খাদ্য সংকটে সিলেটের বন্যার বানভাসী মানুষ; আটক ত্রাণের ট্রাক
বানের পানিতে ভেসেই চলেছে সিলেট। খাবার আর বিশুদ্ধ পানির অভাবে হাহাকার চারিদিকে। যদিও বৃষ্টি কমে এসেছে তবুও সড়ক ও বাসা-বাড়িতে এখনো হাটু পানি। গ্রামের পর গ্রাম ভেসে চলেছে বানের পানিতে। আশ্রয় কেন্দ্রে মিলছে না জায়গা। এমন পরিস্থিতিতে যখন চরম বিপাকে মানুষ তখন সসরকারের ত্রানের গাড়ি আটকে ত্রাণের দাবি জানায় সিলেটের বানভাসি মানুষেরা।
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় তীব্র খাদ্য সংকট সিলেটে। খাবারের জন্য বইছে হাহাকার। অন্য উপজেলার জন্য চলমান ত্রানের ট্রাক আটকে দেয় ক্ষুব্ধ বানভাসিরা। উপজেলা সদর থেকে পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নে যাচ্ছিল সরকারি ত্রাণের ট্রাক। ত্রান নিতে থানা বাজার এলাকায় ছুটে চলে আসে স্থানীয় বানভাসিরা। ভেবে ছিল হয়তো বা তাদেরই জন্য এই খাবার। কিন্তু পরে যখন জানলো এটা পাশের উপজেলার জন্য, তখন ক্ষুব্ধ হয়ে তারা আটকে দেয় ত্রাণের গাড়িটি। তারা দাবি জানায়, এখানে যতটুকু ত্রাণের মাল আছে তার সবটা আমাদের দেওয়া লাগবে। বরং আরো এনে সবাইকে পরিমাণ মত দিয়ে তার পর ছাড়ব আমরা। আমরা কোনো জনগন ত্রাণ সামগ্রী পায় নাই।
গোয়াইনঘাট, বিশ্বনাথ, জয়ীন্তাপুর, কানাইঘাটের বানভাসিদের দুর্ভোগ এখনো কমেনি। সিলেটের কোম্পানিগঞ্জের সবচেয়ে উচু জায়গা হল টুকের বাজার। এই এলাকায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে আগের চেয়ে। এখানে বৃষ্টি কমেছে ঠিকই কিন্তু দুর্ভোগ পিছু ছাড়েনি। জায়গা নেয় আশ্রয় কেন্দ্রে তাই রাস্তার উপর অথবা নির্মানাধীন ভবনে মানুষ ও গবাদিপশুর সহাবস্থান। ত্রাণ না পৌঁছানোর কারণে জনগনের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও ক্ষুব্ধ।
এসব
দূর্গত অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন সেনাপ্রধান। খাবার ও উদ্ধারে প্রয়োজনীয়
পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কোন মন্তব্য নেই