Header Ads

Header ADS

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষ, আহত অন্তত ৮ জন

ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে সবসময়ের জন্য দা-কুমড়া সম্পর্ক। প্রায়ই শোনা যায় দেশের কোথাও না কোথাও হচ্ছে  ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল সংঘর্ষ। নতুন করে এই সংঘর্ষ আবারো জোরদার হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষ  এর মধ্য দিয়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষ



গত ২৪ মে সকাল থেকে দফায় দফায় চলতে থাকে এই সংঘর্ষ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাত্রদল এর একটি মিছিল বের হয়ে সেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। একসময় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মুখোমুখি হয় তারা এবং তথ্যসূত্রে জানা যায় যে, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ছাত্রদলের মিছিলে এসে হামলা চালায়। এতে ছাত্রদলের কিছু সংখ্যক নেতা-কর্মীরা আহত হয় ও সে স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।


এর পরে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা দলে ভারি হয়ে ফিরে আসে এবং আক্রমণ চালায়  ছাত্রলীগ এর নেতা-কর্মীদের উপর। উল্লেখ্য যে, এখানে ছাত্রলীগ এর কিছু নেতা-কর্মীরা আহত হন। আর এরই পরে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এইভাবে চলতে থাকে দুপুর পর্যন্ত। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে চলতে তারা উভই সংগঠন মুখোমুখি হয় হাইকোর্টের মাজার মসজিদের সামনে। এসময় হাইকোর্টের মাজার মসজিদ ও হাইকোর্ট সংলগ্ন এলাকা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এসময় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হামলার মুখোমুখি হন বিভিন্ন গনণমাধ্যম এর সাংবাদিকরা।


কিন্তু, একখানে প্রশ্ন হল হাইকোর্টের মত নিরাপদ স্থানে কিভাবে এরকম বড়-সড় একটি ঘটনা ঘটতে পারে? এঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে আসেন হাইকোর্টের রেজিস্টার। নিরাপত্তা  ব্যবস্তথায় ত্রুটি থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এর ৩০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে পুলিশ এলেও তারা কেউই কথা বলেননি এ বিষয়ে। তবে ২ জনকে আটক করার কথা শোনা গেছে। 


এসময় ছাত্রলীগ এর নেতা-কর্মীদের সাথে কথা হলে তারা জানায় যে, তারা  ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের উপর আচমকা হামলা চালায় নি। বরং কলেজ ক্যাম্পাচের সাধারণ শিক্ষার্থীরা  ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের প্রতিহত করেছে। এরপর যখন  ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালায় তখন  ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা বাধ্য হয়েই তাদের উপর হামলা চালায়। অপরদিকে এই একই কথা বলছে   ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। তারা বলছে  ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাদের উপর আগে আক্রমন চালায় আর তখনই বাধ্য হয়ে তারাও পাল্টা আক্রমণ করে। এসময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা, ছাত্রলীগকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন বলে আখ্যায়িত করে। এবিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রদল লন্ডন থেকে ফতোয়া নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা ক্লিনিং মিশনে নেমেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের তারা অপরাজনীতি শেখাচ্ছে।


এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান উভয় দলের শিক্ষার্থীদের সহনশীল থাকার জন্য বলেছেন। অন্যথায় পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে গড়াবে। তবে দুই পক্ষের মারামারির সময় কোনো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কারো দেখা যায়নি। এঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ৮ জন আহত হয়েছে। তাদের সবাইকে নেওয়া হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

আরো পড়ুনঃ

ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ২০২২, বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ সময়সূচী বাংলাদেশ

২২ তম সম্মেলনে কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক?



২টি মন্তব্য:

konradlew থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.