ব্রেকিং নিউজ , চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে অগ্নি বিস্ফোরণ- সর্বশেষ আপডেট
গতকাল রাত ১০ টা বেজে ৩০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে চট্টগ্রাম এর সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে। এর কিছুক্ষণ পর প্রচন্ড এক বিস্ফোরণে কেপে ওঠে চারিদিক। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আহত ও গুরুতর আহত হন অনেকেই। এখন পর্যন্ত সেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে অগ্নি বিস্ফোরণ |
রাত
যত গভীর হতে থাকে
বাড়ে আগুনের ঝলসানো লেলিহান। চিৎকার, চেচামেচি আর আহাজারিতে ফেটে
পড়ে পুরো এলাকা। ডিপোটিতে
ছিল প্রায় ৫০ হাজার কন্টেইনার।
যার মধ্যে বেশ কিছু কন্টেইনারে
ছিল দাহ্য রাসায়নিক বা কেমিকেল। এতে
করে আগুন আরো ছড়িয়ে
পড়তে থাকে চারিদিকে।
ডিপোর
ভিতরে লোডে থাকা বেশ
কয়েকটি ট্রাক পুড়ে যায়। যাতে
ছিল মুল্যবান সব উপকরণ। কোনো
কোনো ট্রাক ড্রাইভার আবার জীবনের ঝুঁকি
নিয়ে জলন্ত ট্রাক চালিয়ে ডিপোর ভিতর থেকে নিয়ে
এসেছেন বাইরে। উদ্দেশ্য, যদি কিছু মালামাল
বাচানো সম্ভব হয়! তবে গোগ্রাসী
আগুন বাচাতে দেয়নি কিছুই।
আগুনের
তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে চট্টগ্রামের
আশেপাশের কয়েকটি জেলা নোয়াখালী, ফেনি
ও আরো বেশ কিছু
জেলা থেকে আসতে থাকে
ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট। এভাবে আসে মোট ২৫
টি ইউনিট। তবে ভয়ংকরী সেই
আগুনের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছিল না ফায়ার সার্ভিস।
উলটো আগুন নেভাতে গিয়ে
হতাহত হয়েছেন অনেকেই। সারা রাত ভর
চলে এভাবে আগুনের সাথে যুদ্ধ। অন্যদিকে
আবার ছিল পানির সংকট।
ব্যাপক পরিসরে আগুন লাগায় প্রয়োজন
ছিল প্রচুর পানির। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি সরবরাহে খাচ্ছিল
হিমশিম।
ভোর
হতেই হাল ছাড়ে ফায়ার
সার্ভিস। আগুন-পানি যুদ্ধে
ক্লান্ত হয়ে তারা অনেকটা
হার মেনে নেয়। এরপর
অত্যাধুনিক অগ্নি--নির্বাপক ব্যবস্থা নিয়ে আসে ফায়ার
সার্ভিস। অত্যাধুনিক গাড়িতে করে পানি দেওয়া
শুরু করে তারা।
এখন
পর্যন্ত শেষ খবর পাওয়া
পর্যন্ত তথ্য হল, আগুন
নিভানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। আগুন লাগার
১৬ ঘন্টা পরেও আগুন আসেনি
নিয়ন্ত্রণে। তবে ফায়ার সার্ভিস
এর ২৫ টি ইউনিট
কাজ সরে যাচ্ছে সমান
তালে। উল্লেখ্য যে, এখানে ফায়ার
সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করছে বাংলাদেশ
পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র্যাব ও
স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সংগঠন।
সর্বশেষ
পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত৷ আহত
হয়েছেন প্রায় ৪ শতাধিক মানুষ।যাদের
মধ্যে আছেন ডিপোর কর্মীরা, ফায়ার
সার্ভিসের কর্মীরা ও পুলিশ সদস্য।
নিহত
হয়েছেন ৩৯ জন। যার মধ্যে
৭ জনই ফায়ার সার্ভিসের
সদস্য। হতাহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও পুলিশ সদস্যরা।
চট্টগ্রামের
জেলা প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছেন, যে সকল পরিবার
এর সদস্য আহত হয়েছেন তাদের
২০ হাজার করে টাকা দেওয়া
হবে। আর যে সকল
পরিবারের সদস্য নিহত হয়েছেন তাদের
সহায়তা দিবেন ৫০ হাজার টাকা।
গুরুতর আহতদের সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে নিয়ে আসা হচ্ছে ঢাকায়। কাজ করছে শতাধিক পুলিশ ও সেনা সদস্য।
হে আল্লাহ আপনি সকলকে হেফাজত করুন
উত্তরমুছুন