চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোর বিস্ফোরণে ভয়াবহ আগুন
গতকাল রাত ১০ টা বেজে ৩০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম এর সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লেগে ঘটে গিয়েছে ভয়াবহ এক অবস্থা। প্রাথমিক ভাবে প্রথম যে কন্টেইনারে আগুন লাগে সেটা নেভাতে কাজ করছিল শ্রমিক কর্মীরা এবং ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট। কিন্তু সেই কন্টেইনারে দাহ্য পদার্থ থাকায় হঠাৎ ঘটে বিস্ফোরণ এবং হতাহত হন অনেকেই। তারপর থেকে ভয়াবহ রুপ নিয়েছে আগুন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার বিস্ফোরণ |
গতকাল
রাতে লাগা এই আগুন
আজ সকাল পর্যন্ত এখন
ও জ্বলে চলেছে। ফায়ার সার্ভিসের মোট ২৪টি ইউনিট
সেখানে কাজ করছে তবুও
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার মত কোনো
পরিস্থিতি হচ্ছে না। ভয়াবহ এই
আগুন বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত আহত
হয়েছেন ৪ শতাধিক মানুষ
যার মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ৩০ জন এবং
পুলিশ সদস্য ১০ জন। আর
এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭
জন।
জরুরী
ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া
হয় আহত ও নিহতদের।
কেউ কেউ খুব বাজে
ভাবে আহত হয়েছেন। কারো
পা উড়ে গেছে আবার
কারো হাত উড়ে গেছে।
শোনা যাচ্ছে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছেন
অনেকে খুবই খারাপ ভাবে
যার বিবরণ দেওয়ার মত নয়।
জরুরী
ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন
বিভিন্ন গ্রুপের রক্ত প্রয়োজন। A+,AB+,AB-,O- রক্তের গ্রুপ
গুলো খুবই প্রয়োজন। অাহ্বান
করা হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলোকে এগিয়ে আসার জন্য।
কেমিকেলযুক্ত
কন্টেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত
বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফায়ার
সার্ভিসের কর্মীরা প্রথম থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছে আগুন
নেভানোর তবে আগুনের তীব্র
রশ্মির সামনে টিকতে পারছেন না তারা। তাছাড়া
পানি সরবরাহে প্রথম দিকে ছিল কিছুটা
ঘাটটি। এখনকার সময় পর্যন্ত ফায়ার
সার্ভিসের কর্মীরা চেষ্টা চালিয়েও কোনো সমাধান করতে
পারছেন না। কারণ, আগুনের
রুপ খুবই ভয়াবহ। আর
তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই হাল ছেড়ে
দিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এখন তারা ভিতর
থেকে খানিকটা বাইরে এসে নিরপদ দুরত্বে
অবস্থান করছন।
প্রায়
৫০ হাজার কন্টেইনার রয়েছে সেখানে। আর একারণেই আগুন
নিভাতে বেগ পেতে হচ্ছে
ফায়ার সার্ভিসের। একটার পর একটা কন্টেইনার
বিস্ফোরণ ঘটছে।
এখানকার বেশ কয়েকটি ট্র্যাকে আগুন ধরে গিয়েছিল গত কাল রাতেই। কোনো ড্রাইভার আবার তার আগুন লেগে যাওয়া ট্র্যাক চালিয়ে নিয়ে বাইরে বের করে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু অনেক গুলো ট্র্যাক রয়ে গেছিল ভিতরে।
চট্টগ্রাম
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেড়েই
চলেছে আহতদের সংখ্যা। ৪ শতাধিক মানুষ
আহত হওয়ায় জায়গা মিলছে না হাসপাতালে। অ্যাম্বুলেন্সের
বা যথাযথ যানবাহনের স্বল্পতা থাকায় যে যেভাবে পারছে
যেভাবেই হাসপাতালে নিয়ে আসছে আহতদের।
রিক্সা,সিএনজি, কার কিংবা অন্য
কিছু। হাসপাতালে এই মুহুর্তে সবচেয়ে
বেশি প্রয়োজন রক্তের। যার জন্য হাসপাতাল
থেকে বার বার রক্তের
সহায়তা চাওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সংগঠন তাদের কাজ শুরু করে
দিয়েছে।
হাসপাতাল
ভরে উঠেছে আহতদের স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে। ছুটিতে
থাকা ডাক্তার ও নার্সদের ছুটি
বাতিলের ঘোষণা দিয়ে খুব শীঘ্রই
কাজে যোগ দিতে বলা
হয়েছে। গুরুতর আহতদের ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার
ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আমাদের এই ফেসবুক পেজটি লাইক ও ফলো করুনঃ 𝐀𝐟𝐭𝐞𝐫𝐋𝐢𝐟𝐞⌛পরকাল
আরো পড়ুনঃ
চলছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান
স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন স্বামী- রংপুর নিউজ
উত্তরমুছুন😥