ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে; নীলফামারি নিউজ
১৫ বছর বয়সী এক তরুনীকে ধর্ষন করেছে বিজিবি'র এক সদস্য, এমন অভিযোগ আনা হয়েছে নীলফামারীতে। নিম্ন আদালতে বিচার চাওয়ার পর সুষ্ঠু বিচার না পেয়ে চলে এসেছেন উচ্চ আদালতে।
সুপ্রিম কোর্টে এজলাস শুরুর আগেই বাবা-মাকে সাথে করে ওই তরুনী চলে আসে আদালত প্রাঙ্গণে। এরপর এজলাস বসতেই মাকে সঙ্গে নিয়ে আদালত এর ডায়ার্সে দাঁড়িয়ে বিচারপতির নিকট চাইল ধর্ষনের বিচার। নীলফামারিতে ধর্ষনের শিকার হয় এই তরুনী। অভিযুক্ত ব্যক্তি বলেন একজন বিজিবি সদস্য। তরুনীর অভিযোগ, তাকে ধর্ষণ করেছে একজন বিজিপি সদস্য। বিজিবি সদস্য হওয়ায় নানা ভাবে তাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে সেই ব্যক্তি যাতে সে কোথাও বিচার চাইতে না যায়। তারা নিম্ন আদালতে গিয়েও কোনো বিচার পায়নি। তাদের হুমকি দিয়ে মারতে আসে অভিযুক্ত সেই ধর্ষণকারী বিজিবি সদস্য। এজন্য তারা উচ্চ আদালতে ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য এসেছে।
তার বাবা বলেন, নীলফামারীর আদালতে বিচারের আশায় গেলে প্রথমবার মেডিকেল টেস্টে ধর্ষণের আলামত মিললেও দ্বিতীয় বার টেস্টে মানসিক বিকলগ্রস্থ দেখিয়ে আদালতে নথি দাখিল করা হয়। তার বাবা আরো বলেন, আমাদের কাছে প্রমাণ থাকা স্বত্তেও আমরা যথাযথ বিচার পায়নি। এত সুন্দর একটা মেয়ে কিভাবে এরা নষ্ট করে?
এ বিষয়ে মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী মন্তব্য করেন, যেখানে ধর্ষনের ৭২ ঘন্টা পর আলামত খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যায় সেখানে দ্বিতীয় বার মেডিকেল টেস্ট এর প্রশ্নই আসে না। সেই সঙ্গে ধর্ষনের অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জামিন দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত জামান হাসান বলেন, যখন কোনো নারী ধর্ষন হয়, তখন ধর্ষন এর যেসব আলামত তা ৭২ ঘন্টা পর আইটেন্টিফাই করা খুবই কঠিন। ধর্ষণের ১ মাস পরে তারা মামলা করে মেডিকেল টেস্ট করায়। এখানে আলামত গুলো খুজে পাওয়া সম্ভব হয়না। এই ভিত্তিতে মামলা খারিজ করলে সেটা কোনো ভাবেই আইনসিদ্ধ নয়।
ধর্ষনের শিকার তরুণীটি টাকার অভাবে যেন সঠিক বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয়, সে দিকে নজর দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিম কোর্ট লিগালিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই ভুক্তভোগী বোনটির সুবিচার পাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক এটাই আমাদের দাবি।
আরো
পড়ুনঃ
সঠিক বিচার চাই
উত্তরমুছুন