সিলেটে ভয়াবহ রুপ ধারণ করছে বন্যা; সিলেটে সর্বশেষ বন্যা পরিস্থিতি
অতিবৃষ্টির কারণে সিলেটে সৃষ্টি হয়েছে বন্যার। তবে বৃষ্টির হার না কমে আসলে বন্যা আরো ভয়াবহ রুপ নিতে পারে।
সিলেটে সর্বশেষ বন্যা পরিস্থিতি |
ইতিমধ্যে সিলেট নগরীর প্রায় অর্ধেক অংশে বন্যার পানি প্রবেশ করে ফেলেছে। এবং পরিস্থিতি অনেকটা ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জ এর প্রায় ১ কিলোমিটার সড়ক পানিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। ছোট যানবাহন চলাচলে খুবই সমস্যা হচ্ছে তবে বড়-বড় যানবাহন এখনো চলছে। ছোট গাড়ি থেকে যাত্রীরা নেমে গাড়ি ঠেলে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। যদি আরো কিছুক্ষণ এই একই হারে পানি অব্যাহত থাকে তাহলে হয়তো বা সিলেটের সঙ্গে সুনামগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
অবস্থা
প্রতিনিয়ত অবনতির দিকে যাচ্ছে সিলেটে।
ইতিমধ্যে বিভাগীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রে ঢুকে পড়েছে পানি।
আর যদি ৪-৫
ইঞ্চি পানি উঠে কেন্দ্রে
তাহলে হয়তো বা বিদ্যুৎ
সংযোগ বন্ধ করে দিতে
হবে। কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে বিকল
হয়ে পড়বে সিলেটের যোগাযোগ
ব্যবস্থা। তাই যাতে বিদ্যুৎ
সরবরাহ বন্ধ করতে না
হয় সেজন্য জেলা প্রশাসন থেকে
শুরু করে সিটি প্রশাসন
এবং বিদুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সাথে করে নিয়ে
কাজ করছেন।
ইতিমধ্যে
সেনাবাহিনীর ২টি ইউনিট কাজ
করছে। তারা সিলেট এবং
সুনামগঞ্জে যাবে। আর সিলেটের কোম্পানিগঞ্জে
রওয়ানা হবে তারা। কারণ
সেখানকার বিভিন্ন গ্রামে মানুষ আটকা পড়ে আছে।
তাদের উদ্ধার করতে সেনাবাহিনী ছুটে
যাবেন।
সিলেটের
সীমান্তবর্তী মোট ৫ উপজেলা
পানিতে করছে থৈ থৈ।
গ্রামের পর গ্রাম ভাসছে
বন্যার পানিতে। পানির তীব্র স্রোতে তলিয়ে যাচ্ছে বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গ্রামের ছোট-ছোট রাস্তাঘাট সহ বড় বড়
সব রাস্তা। এই অবস্থায় শেষ
সম্বল টুকু হাতে নিয়ে
আশ্রয় খুঁজে চলেছেন এলাকাবাসীরা। সিলেটের গ্রামাঞ্চল সহ সিলেট সদরও
রেহায় পায়নি বন্যার এই কবল থেকে।
সিলেট নগরীর ১০ টি ওয়ার্ড
ছাড়াও আরো নতুন নতুন
এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে পানিতে। কোম্পানিগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট সহ বিভিন্ন এলাকার
বাসা বাড়ি তলিয়ে গেছে
বন্যায়।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জের
পৌর এলাকা সহ ১২ উপজেলার
হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গত
দুই দিন ধরে বিদ্যুৎ
বিহীন জীবন আরো দুর্বিসহ
হয়ে উঠেছে। এদিকে নেত্রকোনারও সদর উপজেলা সহ
বেশ কয়েকটি এলাকা তলিয়ে গেছে।
🥺
উত্তরমুছুন