সুইস ব্যাংকে টাকার পাহাড় গড়ছে বাংলাদেশিরা
গত ১২ মাসে সুইস ব্যাংকে পাহাড় পরিমাণ টাকা জমা করেছে বাংলাদেশিরা। এই অঙ্কের পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার কোটির কাছাকাছি। এবং সবমিলিয়ে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের মোট টাকার পরিমাণ হল ৮ হাজার ২ শত ৭৫ কোটি টাকা। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে এই সব তথ্য।
সুইস ব্যাংকে টাকার পাহাড় গড়ছে বাংলাদেশিরা |
ধনীদের অর্থ গোপনে গচ্ছিত রাখার বিশ্বজুড়ে খ্যাতি সুইজারল্যান্ডের সুইস ব্যাংকের। গ্রাহকদের নাম ঠিকানা গোপন রেখে ব্যাংকিং সেবা পরিচালনা করে সুইস ব্যাংক। যেকারণে, প্রচলিত বিশ্বাস অবৈধ আয় আর ফাঁকি দেওয়া করের টাকা জমা রাখা হয় সুইস ব্যাংকে। নির্দিষ্ট করে কোনো গ্রাহকের তথ্য না দিলেও গত দশ বছর ধরে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ২০২১ সালের সুইস
ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১
সালের ১৬ই ডিসেম্বর সুইস
ব্যাংকে বাংলাদেশিদের এ যাবত কালে
মোট জমাকৃত টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১১
লক্ষ সুইস ফ্রা। ফ্রা
প্রতি ৯৫ টাকা করে
ধরলে তা বাংলাদেশি টাকায়
দাঁড়ায় ৮ হাজার ২
শত ৭৫ কোটি টাকা।
আর ঠিক এক বছর
আগে অর্থাৎ ২০২০ সালে এই
অঙ্কের মোট পরিমাণ ছিল
৫৬ কোটি ২৯ লক্ষ
ফ্রা যা ফ্রা প্রতি
৯৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি
টাকায় দাঁড়ায় ৫ হাজার ৩
শত ৪৭ কোটি টাকা।
এখানে দেখার বিষয় এই যে,
এক বছরে সুইস ব্যাংকে
বাংলাদেশিদের মোট আমানত বেড়ে
দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯
শত ২৮ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য যে, সুইস ব্যাংক
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যদি কোনো বাংলাদেশি
নাগরিকত্ব গোপন রেখে টাকা
জমা রেখে থাকেন সেই
টাকা এবং গচ্ছিত স্বর্ণ
ও মুল্যবান সামগ্রীর হিসাব এই প্রতিবেদনে হিসাব
করা হয়নি। অর্থাৎ সেগুলোর হিসাব করলে টাকার অংক
আরো বাড়তো।
এই প্রতিবেদনে এখন পর্যন্ত যে হিসাব পাওয়া যায় তাতে দেখা যায় এ যাবত কালে ২০২১ সালেই সুইস ব্যাংকে সবচেয়ে বেশি টাকা জমা রেখেছে বাংলাদেশিরা। ২০০২ সালে এই অঙ্ক ছিল মাত্র ৩ কোটি ১০ লক্ষ সুইস ফ্রা। আর ২০২১ এ এসে তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লক্ষ সুইস ফ্রা। অর্থাৎ গত দুই দশকে টাকা আমানত রাখার মোট পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০ গুন। আর টাকা জমা রাখার হারও সবচেয়ে বেশি ছিল ২০২১ সালেই।
পাচার ঠেকাতে সরকার নিচ্ছে নানান পদক্ষেপ। এমনকি আদালতও নির্দেশ দিয়েছে পাচার বন্ধ করার। তারপরও গত বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি টাকা জমা পড়েছে সুইস ব্যাংকে। মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান এর মতে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে পাচার হয় প্রায় ৭১ হাজার কোটি টাকা।
এই প্রতিবেদন অনুসারে ২০২১ সালে সুইজারল্যান্ডে মোট আমানত বেড়েছে। ২০২১ সালের শেষে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংক গুলোতে মোট আমানত ছিল ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি ফ্রা। ২০২০ সালের চেয়ে যা বেড়েছে ৪ হাজার কোটি ফ্রা। বিশ্লেষকদের মতে, গোপনীয়তার সুবিধা থাকায় ধনীরা এখন ঝুঁকছেন সুইস ব্যাংক সহ সুইস ব্যাংকের মত অন্যান্য সব ব্যাংকের দিকে।
আরো
পড়ুনঃ
৩৪৩ ভোটে জিতে গেল আওয়ামী লীগের নৌকা; কুমিল্লা সিটি নির্বাচন
২২ বছরের কয়েদীর সাথে কবুতরের নিবিড় ভালবাসা
পদ্মা সেতুতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি দিয়ে তৈরি হবে জাদুঘর; শেখ হাসিনা
Hot news
উত্তরমুছুন