এফ এম রেডিও'র নারী আর জে- কে মাঝ রাস্তায় হেনস্তা
রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে গত বুধবার রাত ১২ টার দিকে রেডিও কালার্স এফ এম'র এক নারী আর জে কে জামা টেনে ছিড়ে ফেলে হেনস্তা করে অজ্ঞাত দুই মোটরসাইকেল আরোহী। ভুক্তভোগী ওই তরুনীর দাবি ব্যক্তিগত কিছু বিষয় নিয়ে সে অন্য মনস্ক ছিল আর এমনই সময়ে কোথা থেকে হুট করে চলে আসে একটি মোটরসাইকেল ও সেটাতে বসে থাকা দুই ব্যক্তি তাকে বিদ্রুপ ভাবে হেনস্তা করে।
এফ এম রেডিও'র নারী আর জে- কে জামা টেনে হেনস্তা |
উক্ত তরুনীর বাসা পুরাতন ঢাকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে রিক্সায় করে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। ধানমন্ডির ভায়ার বাসা থেকে তার বাসায় যাচ্ছিলেন তিনি। এসময় ঘটে এমন বিব্রতকর এই ঘটনা।
ঢাকার
রেডিও কালার্স এফ এম এর
আর জে ওই তরুণী।
মন ভাল না থাকায়
কানে হেডফোন দিয়ে রিক্সায় করে
যাচ্ছিল রাস্তা ধরে। যদিও রাস্তায়
তখনও কিছু লোকজন ছিল।
এমন সময় তার পিছন
দিক থেকে আসে একটি
মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেলটিতে বসে ছিল দুইজন
অজ্ঞাতনামা। হঠাৎ করে তারা
মেয়েটির দিকে চড়াও হয়
এবং তার পরিহিত জামা
ধরে টান দেয়। অবস্থা
সামাল দিতে মেয়েটি যখন
নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে, তখন তার
জামার একটি অংশ ছিড়ে
যায়। মেয়েটি চিৎকার করেছিল তবুও নাকি তেমন
কেউ আসেনি তাকে সাহায্য করতে
এমনটায় দাবি তার।
এ ঘটনার পর মেয়েটি শাহবাগ
থানায় একটি মামলা দায়ের
করে। অজ্ঞাত সেই দুই ব্যক্তির
একজনের মুখ দেখেছে সে
কিন্তু ভয়ের চোটে ভুলে
যায় মোটরসাইকেলটির নাম্বার প্লেট দেখার কথা। মেয়েটির দাবি মুখ দেখে শনাক্ত করতে পারবেন তিনি সেই ব্যক্তিকে। মামলার পর
পুলিশ ওই এলাকার সিসিটিভি
ফুটেজ জব্দ করেছে। যদিও
এখনও শনাক্ত করা যায়নি কাউকে।
এমন
হেনস্তা হওয়ার পর মেয়েটি তার
ফেসবুকে লেখে, 'এই যে আমার
ছেড়া জামাটা দেখতেছেন, এটাই আপনাদের বাংলাদেশ।
এই দেশে মেয়েদের মলেস
হওয়া, হ্যারাস হওয়া, রেপ হওয়া, গালি
খাওয়া স্বাভাবিক ভেবে মেনে থাকতে
পারলে থাকেন, নইলে এই রাগে
দুঃখে ট্রমাটাইজ হয়ে সুইসাইড করেন,
মরে যান, যা খুশি
করেন কিন্তু প্রতিরোধ কিংবা বিচারের আশা কইরেন না।'
পোস্টে
আরো উল্লেখ ছিল, 'একটা লোক বাইক
নিয়ে রিক্সার পিছন থেকে এসে
আমার বুক খামছে টেনে
হিচড়ে আমার জামা ছিড়ে
আমাকেই গালাগাল করতে করতে চলে
গেল। আশেপাশে একটা পুলিশ নাই,
একটা মানুষ এসে ধরলোনা আমার
চিৎকার শুনে। আমি কিচ্ছু করতে
পারলাম না। আমার শরীর
এখনো কাপতেছে ভয়ে।'
এরপরে
আরো কিছু লেখেন তিনি
যার সারমর্ম হল, এই দেশে
থাকতে হলে কি রাস্তাঘাটে
কাউকে গায়ে হাত দেওয়ার
পারমিশন দিতে হবে? নাকি
ভয়ে সন্ধ্যার পরে বাসা থেকে
বের হওয়ায় যাবে না? এর
যথাযথ বিচার চান তিনি।
পুলিশ
পরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবারেই
ওই তরুণীর সঙ্গে চলে যান ঘটনাস্থল
পরিদর্শনে। মামলার বিচার দ্রুত কার্যকর করতে ব্যস্ত আছেন
শাহবাগ থানার পুলিশ।
আসুন, আমরা আমাদের দৃষ্টি--ভঙ্গি বদলায়। তাহলে রাস্তা-ঘাটে এরকম ভাবে হেনস্তা হবে না কোনো নারী। আর মেয়েদের ও উচিত সংযত হয়ে চলা। এমন কোনো ভাবে চলা যাবে না যাতে কোনো পুরুষ তার দিকে আকৃষ্ট হয়ে যায়। আসুন নারী-পুরুষ সবাই মিলে মনোভাব পালটায়। পালটে যাবে আমাদের সমাজ ,পালটে যাবে আমাদের দেশ।
আরো পড়ুনঃ
বাংলাদেশী ছেলের রোবট আবিষ্কার; কাজ করতে সক্ষম হোটেলে
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) কে অবমাননা করায় ক্ষুব্ধ মুসলিম বিশ্ব
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোর বিস্ফোরণে ভয়াবহ আগুন
হে নারী তুমি আল্লাহ কে ভয় করো, আল্লাহ তোমার উপর পর্দা ফরজ করেছেন, আর তুমি বেপর্দা হয়ে রাস্তায় বের হয়েছো, এর পরিনাম খুবই ভয়াবহ যদি তুমি তওবা না করে আল্লাহর পথে না আসো।
উত্তরমুছুন