মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) কে অবমাননা করায় ক্ষুব্ধ মুসলিম বিশ্ব
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) কে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি'র দুই মুখপাত্র। এতে বিপাকে পড়েছে ভারত সরকার। এ বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, ইরান সহ বিশ্বের মুসলিম প্রধান বড় বড় সব রাষ্ট্র। অনেক দেশে বয়কট করা হচ্ছে ভারতীয় সব পণ্য।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) কে অবমাননা করায় বিপাকে ভারত সরকার |
বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব, মানব জাতির আদর্শ শিক্ষক, মুসলিম বিশ্বের কলিজা প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (স) কে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেছে ভারত সরকারের দুই মুখপাত্র। সম্প্রতি এক টিভি সাক্ষাৎকারে এমন ঘটনা ঘটে। ভারত সরকারের মুখপাত্র নুপুর সরকার প্রথমে করে এমন বিরুপ মন্তব্য আর তার সেই মন্তব্যকে সমর্থন করে টুইটারে টুইট করে ভারত সরকারের দিল্লির মুখপাত্র নাভির কুমার জিন্দাল।
এ ঘটনার পরপরই মুসলিম বিশ্বে পড়ে যায় ক্ষুব্ধ প্রতিবাদ। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, ইরান, লিবিয়া, তুরস্ক সহ মুসলিম প্রধান আরো বেশ কিছু দেশ। তাদের দাবি আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারত সরকারকে এর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। কুয়েতে বেশ কিছু মার্কেট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ভারতীয় সব পণ্য। বিভিন্ন মুসলিম প্রধান বড় বড় দেশ আহবান জানিয়েছে ভারতীয় সব পণ্য বয়কটের। আরব আমিরাতের সাথে ভারতের বরাবরই খুব ভাল সম্পর্ক। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটার কারণে আরব আমিরাত ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ভারতকে। এতে মারাত্মক ভাবে চাপের মুখে পড়েছে ভারত।
গত রবিবার এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তলব করা হয় এবং এর জন্য ভারত সরকারকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। ভারত সরকার তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "বিজেপি কঠোর ভাবে যে কোনো ধর্মের যে কোনো ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে অপমানের নিন্দা করে। কোনো সম্প্রদায় বা ধর্মকে অপমান করে বা হেয় করে এমন যেকোনো আদর্শের ও বিরুদ্ধে বিজেপি। এধরণের মানুষ বা দর্শনকে সমর্থন করে না তারা। দল সব ধর্মকে সম্মান করে এবং যেকোনো ধর্মীয় ব্যক্তির অবমাননার তীব্র নিন্দা করে। বিজেপি যেকোনো ধর্ম বা ভাবাবেগকে সম্মান জানায়। কোনো ধর্মের অপমান বিজেপি বরদাস্ত করে না।"
ভারত সরকার আরো বলেছেন, "যে ধরনের কটুক্তি করা হয়েছে তা নিতান্তই ঐ দুই ব্যক্তির ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটি ভারত সরকারের কোনো মন্তব্য নয়।" যদিও চাপের মুখে পড়ে গত সোমবার কটুক্তিকারী সেই দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি। দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর তারা উভয়ই তাদের মন্তব্য প্রত্যাহার করেছে।
এ নিয়ে তোলপাড় চলছে নেট দুনিয়ায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন ভাবে করা হচ্ছে প্রতিবাদ। সব দেশেরই দাবি ভারত সরকারকে জন সম্মুখে ক্ষমা চাইতে হবে। এজন্য ভারত সরকার রয়েছে প্রচুর চাপের মুখে। কারণ, বিশ্বের অনেক মুসলিম প্রধান দেশের সঙ্গে রয়েছে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, রয়েছে ভাল সম্পর্ক ও কোটি কোটি টাকার লেনা-দেনা। এসব বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়ে রয়েছে তারা।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) কে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য পোষণ করলে ছাড় পাবে না কেউ। তাই সে যে দেশেরই হোক বা যত বড় নেতাই হোক না কেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী এসব জঘন্যতম ব্যক্তিদের জন্য রইল তীব্র নিন্দা আর ঘৃণা।
👉আমাদের এই ফেসবুক পেজটি লাইক ও ফলো করুনঃ 𝐀𝐟𝐭𝐞𝐫𝐋𝐢𝐟𝐞⌛পরকাল
আরো পড়ুনঃ
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে কর্মহারা হচ্ছেন হাজারো মানুষ; মাওয়া ঘাট
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোর বিস্ফোরণে ভয়াবহ আগুন .
কেন ইউক্রেনের বাসিন্দারা যেতে চায় রাশিয়ায়; রাশিয়া বনাম ইউক্রেন
"ইয়া রাসূলুল্লাহ , বিদ্রুপকারীদের বিরুদ্ধে তোমার জন্য আমিই যথেষ্ট। "
উত্তরমুছুন( সূরা আল -হিজর , ৯৫ )