আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যার মুল আসামী মুসা গ্রেফতার
আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যার মুল আসামী মুসাকে উমান থেকে গ্রেফতার করে দেশে এনেছে ডিবি পুলিশ। ৫ই জুন মুসাকে নিয়ে আসতে উমান যায় ডিবি পুলিশের একটি টিম। পরে তাকে গতকাল ৮ই জুন দেশে নিয়ে আসা হয় বিমানে করে।
![]() |
আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যার মুল আসামী মুসা গ্রেফতার |
গত ২৪শে মার্চ রাতে রাজধানীর শাহজানপুরে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজ ছাত্রী সাদিয়া আফরান প্রীতিকে হত্যা করে কিলার মুসা। জাহিদুল ইসলাম টিপু ছিলেন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাকে মারতে প্রায় দুই থেকে তিন মাস ধরে দেশি-বিদেশি আন্ডারগ্রাউন্ড এর চক্রান্তকারীদের পরিকল্পনা করে সুমন শিকদার ওরফে কিলার মুসা।
টিপু
হত্যা মামলায় মোট ১৩ জনকে
আসামী করে মামলা দায়ের
করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের
১২ আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে
তারা তাদের মধ্যে দুই জনের জবানবন্দিতে
খুনের দায় স্বীকার করে
এবং তাদের কাছ থেকেই বেরিয়ে
আসে টিপু হত্যার মাস্টার
মাইন্ড কিলার মুসার নাম।
গত ৮ই মে বাংলাদেশ ছেড়ে দুবাই পাড়ি দেয় কিলার মুসা। পরে ইন্টারপোল এর সাহায্যে একটি ফোন কলের সূত্র ধরেই তার অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয় ডিবি পুলিশ। প্রথমে দুবাই থাকলেও পরে যখন মুসা বিষয়টা টের পায়, তখন সে দুবাই থেকে পালিয়ে চলে যায় উমানে। ইন্টারপোল এর সহযোগীতায় ডিবি পুলিশ যোগাযোগ স্থাপন করে উমান পুলিশের সাথে।
এরপর
উমানে বেশ কিছু দিন
থাকে মুসা। পরে সে ভেবেছিল
সে হয়তো বা পুলিশের
হাত থেকে রেহায় পেয়ে
গেছে। কিন্তু ইতিমধ্যে উমান পুলিশের সাথে
যোগাযোগ করে সব কিছুই
স্পষ্ট করে বলে দেয়
ডিবি পুলিশ। পরে উমান থেকে
আবার দুবাই আসার জন্য রওয়ানা
দেয় উমানের বিমানবন্দরে মুসা। এখানেই ফেসে যায় সে।
তার পাসপোর্ট এর সকল তথ্য
ছিল উমান পুলিশের কাছে।
ইন্টারপোল এর সহযোগীতায় উমান
পুলিশের সাথে যোগাযোগ অক্ষুণ্ণ
রেখে উমানের সালালা শহর থেকে আটক
করা হয় মুসাকে।
তাকে ধরে আটকে রাখে উমান পুলিশ। গত ৫ই জুন তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে উমান যায় ডিবি পুলিশের একটি টিম। বুধবার রাতেই তাকে হস্তান্তর করা হয় ঢাকা পুলিশের হাতে।
মতিঝিল, মীরপুর, পল্লবী সহ বেশ কয়েকটি থানায় মুসার বিরুদ্ধে রয়েছে প্রায় ১১টি মামলা। তাজ হত্যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় কিলার মুসার ক্রিমিনাল জীবন। এছাড়াও বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় সন্ত্রাসী প্রকাশ, বিকাশ ও মানিক গ্রুপের সঙ্গে সক্রিয় ছিল সে। টিপু হত্যার ১২ দিন আগেও সে দুবাই ঘুরে আসে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে। যেখানে সে আশ্রয় নেয় দুবাইয়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের কাছে।
তিন সদস্যদের একটি টিম উমান থেকে নিয়ে আসে কিলার মুসাকে। যে টিমের লিডার ছিলেন এ ডি সি শাহিদুর রহমান। মুসার সঙ্গি মোট ১২ জন; আকাশ, দামাল, নাসির, ফারুক, পলাশ, সালেহ, মানিক, মারুফ, ইকরাম, সেকান্দার, সৈকত ও হাফিজুল। পুলিশ জানায় মুসাকে ধরতে উমান পুলিশ আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। তাদের সাহায্য ছাড়া আমরা মুসাকে ধরতে সক্ষম হতাম না।
মুসাকে রাখা হয়েছে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুসা স্বীকার করেছে অপরাধ। মুসা বলেছে ১৫ লক্ষ টাকার চুক্তিতে সে এই খুনের সুপারি নেয়। পুলিশের দাবি এবার এই খুনের প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে। কারণ, মুসা ছিল সুপারি কিলার। সে এই খুনের মুল হোতা নয়। রিমান্ডে নেওয়ার পর মুল হোতার নাম বের করা সম্ভব হবে বলে জানায় ডিবি পুলিশ।
আরো
পড়ুনঃ
good news
উত্তরমুছুন