কেন ইউক্রেনের বাসিন্দারা যেতে চায় রাশিয়ায়; রাশিয়া বনাম ইউক্রেন
একের পর এক ইউক্রেনের শহর দখলে নিয়ে চলেছে রাশিয়া। যুদ্ধ এখন চরমে। আর ঠিক এই সময়ে রাশিয়ার পুতিন সরকার নিয়েছেন এক অন্যরকম সদ্ধান্ত। তিনি ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিকদের সুযোগ দিচ্ছেন ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় আসার জন্য। কিন্তু কেন?
ইউক্রেনের বাসিন্দারা যেতে চায় রাশিয়ায় |
ইউক্রেনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মেরিটোপল। গত সপ্তাহে এই শহরটির দখলদারি করে রাশিয়া। আর এখানেই প্রথম পাসপোর্ট অফিস চালু করল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। উদ্দেশ্য, ইউক্রেনের সাধারণ অধিবাসীদের তার নিজ দেশ অর্থাৎ রাশিয়ার নাগরিকত্ব দেওয়া। আর পুতিনের দেওয়া এই অফার অবিলম্বে গ্রহন করে নিচ্ছে অনেক ইউক্রেনীয় অধিবাসী।
রাশিয়ার
এই নাগরিকত্ব নেওয়ার জন্য সাধারণ জনগণের
হিড়িক পড়ে গেছে ইউক্রেনের
মেরিটোপল শহরে। গত সপ্তাহে পাসপোর্ট
অফিস বসানোর পর ইতিমধ্যেই আবেদন
জমা পড়েছে প্রায় ৩ হাজারের ও
বেশি। বাড়ছে ভীড় প্রতিদিন। উন্নত
জীবনের আশায় ইউক্রেন ছেড়ে
অনেকেই পাড়ি জমাচ্ছে রাশিয়ায়।
যদিও এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের
একটি শহরেই বসানো হয়েছে পাসপোর্ট ভিসার অফিস তবে খুব
শীঘ্রই দখলকৃত অন্যান্য শহর গুলোতেও অফিস
বসাতে চায় রাশিয়ার প্রশাসন।
মেরিটোপল
শহরে বসানো পাসপোর্ট ভিসার অফিস এ কর্মরতরা
বলছেন, কাজের চাপে ঠিকমত একটা
দম ফেলার ও সুযোগ নেয়
তাদের। প্রতিদিনই শত শত ইউক্রেনীয়
নাগরিক রাশিয়ার নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য আসছেন পাসপোর্ট
ভিসা করতে। বিরতিহীন ভাবে কাজ করতে
হচ্ছে তাদের।
কিন্তু
প্রশ্ন হল কেন নিজ
দেশ ত্যাগ করে ইউক্রেনের নাগরিকরা
চলে যেতে চাইছে তাদেরই
উপর আক্রমণকারী দেশ রাশিয়ায়? প্রশ্নের
জবাবে অনেকে বলেছেন, আমরা আর এভাবে
থাকতে চাই না। একটু
ভাল ভাবে খেয়ে পরে
থাকতে চাই। এত দিন
যাওয়ার কোনো সুযোগ পায়নি।
তবে মনে হচ্ছে এবার
সে সুযোগটা পাব। আর যেহেতু,
এই সুযোগ করে দিচ্ছে রাশিয়া
তাহলে যাব না কেন?
অনেকে
আবার যাচ্ছেন উচ্চ শিক্ষার আশায়।
যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেন ছেড়ে তাই স্বেচ্ছায়
অনেকেই যাচ্ছেন রাশিয়ায়। অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে লাগবে সময়।
তাই তারা ভেবে-চিন্তে
নিচ্ছেন রাশিয়ায় যাওয়ার মত এমন সিদ্ধান্ত।
কোন মন্তব্য নেই