২০২২-২৩ অর্থ বছরে ১৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি পাচ্ছে কৃষি খাত
২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাবনায় বেশ গুরুত্ব পেয়েছে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা খাত। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় খাদ্য-শস্যের উৎপাদন বাড়াতে চায় সরকার। তাই, কৃষি যন্ত্র-পাতির দামে ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। যাতে অল্প টাকায় যন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে অধিক পরিমাণে উৎপাদন ও লাভবান হতে পারেন দেশের কৃষি জীবিরা।
২০২২-২৩ অর্থ বছরে ১৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি পাচ্ছে কৃষি খাত
কৃষক আর কৃষি বাংলাদেশের উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেই ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই দেশের উন্নতি ও উন্নয়নের বড় এক অংশে রয়েছে বাংলাদেশের কৃষক সমাজ। এভাবে চলে আসছে সেই থেকে। দেশের সতকরা ৮০ ভাগ মানুষই কৃষি কাজের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। খাদ্যের যোগানে নেই কৃষক ও কৃষির বিকল্প।
কৃষক আর কৃষি যে চমক দেখাতে পারে তার উদাহরণ হল কোভিড-১৯, করোনা ভাইরাস আতঙ্ক এর সময় যখন পুরো বিশ্ব খাদ্য নিয়ে হাহাকারে পড়ে যায় তখন বাংলাদেশ তার নিজ ব্যবস্থাপনায় মোকাবিলা করেছে করোনা মহামারি। যার মুলে ছিল বাংলার কৃষি আর বাংলার কৃষক। এবার ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তায় জোর বাড়ানো হয়েছে।
কৃষি
যন্ত্রপাতির ক্রয়মূল্যে ৫০-৭০ ভাগ
অর্থ দিয়ে সহায়তা করবে
সরকার। বলা হচ্ছে, স্বল্পমূল্যে
কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করায় বেড়েছে উৎপাদন
ব্যয়। ঘোষণা অনুযায়ী ২০২২ সাল থেকে
২০২৫ সাল পর্যন্ত ১২
টি ক্যাটাগরিতে মোট ৫১ হাজার
কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করবে সরকার। যার
মোট মূল্য দাড়ায় প্রায় ৩ হাজার ২০
কোটি টাকা। আর আগামী অর্থ
বছরে ১৬ হাজার টাকা
ভর্তুকি দেওয়া হবে এই খাতে।
এর সুফল পাচ্ছে সাধারণ
মানুষজন এবং ভবিষ্যতেও পাবে
বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, 'কৃষি যত আধুনিকায়ন হবে, তত বেশি যদি আমরা কৃষকদের একটু আধুনিক ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত করতে পারি, যদি আমরা একটা পর্যায়ে কৃষি বীমার ব্যবস্থা করতে পারি আর এগুলো করার জন্য চিন্তা-ভাবনা করে যদি আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারি তাহলে আমরা কৃষির ভর্তুকি কমিয়ে আনতে পারব।'
বর্তমানে অস্থির নিত্য পন্যের বাজার। চাল,ডাল ও ভোজ্য তেল সহ নানা রকম পন্যের দাম উর্ধ্বমুখী। বাজার যাতে সহনশীল পর্যায়ে আসে সেই চেষ্টায় করে যাচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ' আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না কমলে তো দাম কমবে না। কিন্তু সরকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য আলাদা ব্যবস্থা করবে যাতে তারা কম মূল্যে খাবার বা পন্য পেতে পারে। জিনিসপত্র ও অন্যান্য সব কিছুর দাম কমানোর চেষ্টা করবে সরকার যাতে সাধারণ মানুষের কষ্ট না হয়।'
এদিকে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে ২০২২-২০২৩ বাজেটে। এতিম শিশুদের খোরাকি ভাতা ৪ হাজার টাকা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যুনতম মাসিক ভাতা ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন অর্থমন্ত্রী।
কোন মন্তব্য নেই