মাত্র ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায় মালয়েশিয়া - সর্বশেষ আপডেট
বেশ কয়েক বছর পর চলতি মাসেই খুলতে চলেছে মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার। গত ২ জুন, বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত যৌথ কমিটির মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈধ রিক্রুকিং এজেন্সির তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে মালয়েশিয়া সরকারের কাছে।কমানো হয়েছে অভিবাসন ব্যয়। কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম না করার কড়া হুশিয়ারি।
মাত্র ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায় মালয়েশিয়া |
অতিরিক্ত
অভিবাসন ব্যয় গ্রহন সহ
নানা বিধ অভিযোগ এনে
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে বাংলাদেশ
থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে দেয়
মালয়েশিয়া সরকার। এরপর দীর্ঘ দিন
যাবত বন্ধ ছিল মালয়েশিয়ায়
বাংলাদেশের শ্রম বাজার।
বাংলাদেশ
থেকে এখন মালয়েশিয়া যেতে
মোট অভিবাসন ব্যয় বা খরচ
পড়ে গড়ে ৩ লক্ষেরও
বেশি যেখানে সরকার নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয় তার থেকেও
অনেক কম। কিন্তু বিভিন্ন
রিক্রুটিং এজেন্সি সেসব বিধি-নিষেধ
মানতে রাজি নয়। তারা
বেশি অঙ্কে টাকা নিয়েই তবে
মালয়েশিয়া পাঠায় শ্রমিক। এতে অসন্তোষ আর
ভোগান্তির শেষ নেয়। এই
ভোগান্তি কমাতে সম্প্রতি মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশ করল
নতুন করে চুক্তি।
মালয়েশিয়া ভিসার দাম কতঃ
মালয়েশিয়ার
শ্রম বাজার উন্মুক্ত হতে চলেছে আবারো।
এবার গুরুত্ব সহকারে আগে থেকেই দেখা
হচ্ছে কর্মীদের বেতন, অভিবাসন ব্যয় ও নিরাপত্তা
ব্যবস্থা। গতকাল সকালে মালয়েশিয়ার বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ
মন্ত্রণালয়ের যৌথ মিটিং এর
আয়োজন করা হয়। সিদ্ধান্ত
হয়, চলতি মাসেই মালয়েশিয়াতে
পাঠানো হবে শ্রমিক। প্রবাসী
কল্যাণ মন্ত্রী অভিবাসন ব্যয় এর কথা
বলেছেন ১ লক্ষ ৬০
হাজার টাকার ও কিছু কম।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, অতিসত্তর অবশ্য জুন মাসের মধ্যেই আমরা মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর ব্যবস্থা করে নিব। তিনি আরো বলেন, যদি কোনো এজেন্সি সরকার নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয় এর বেশি বা অতিরিক্ত ব্যয় গ্রহন করে তাহলে সে ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আমাদের সাধ্য মত চেষ্টা করব যাতে কেউ এমনটি না করে । তবে কেউ করলে আমরা তার যথাযথ অ্যাকশন বা ব্যবস্থা গ্রহন করব।
মালয়েশিয়া কাজের বেতন কতঃ
সিদ্ধান্ত
হয়েছে ৫ বছরে ৫
লক্ষ শ্রমিক পাঠানো হবে মালয়েশিয়ায়। যেখানে
তাদের সর্বনিম্ন বেতন হবে মাসে
১৫২০ রিঙ্গিত। যা বাংলা টাকা ৩০ হাজারের ও বেশি। আর কতগুলো এজেন্সি
কাজ করবে শ্রমিক বিনিয়োগে
তা ঠিক করবে মালয়েশিয়া
সরকার।
প্রবাসী
কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ আরো বলেন,
৫ বছরে ৫ লক্ষ
শ্রমিক নিতে চেয়েছে মালয়েশিয়া
সরকার। অর্থাৎ, বছরে ১ লক্ষ
শ্রমিক। তবে আমার বিশ্বাস,
যে অবস্থা চলছে যদি এভাবেই
চলতে থাকে তাহলে এবছরেই
হয়তো ৫ লক্ষ শ্রমিক
পাঠানো যেতে পারে।
মালয়েশিয়ার
মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান বলেন, দ্রুত সভা সফল হয়েছে।
আমরা দৃঢ় মাইগ্রেশন নিয়ে
কাজ করছি। এই মুহুর্তে এই
ব্যাপারে বিস্তারিত লেখা আছে। তা
যাতে নিশ্চিত হয় সে জন্য ও
নেওয়া হবে ব্যবস্থা।
এ খবর প্রকাশের পর
মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক অনেকেরই
হয়তো মনে আশার আলো
ফুটতে পারে। কারণ দীর্ঘ প্রতিক্ষার
পর এ যেন অনেক
বড় একটা প্রাপ্তি। মালয়েশিয়া
যাওয়া নিয়ে চলে আসছিল
বিভিন্ন জটিলতা। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও অনেকে
যেতে সক্ষম হচ্ছিলেন না মালয়েশিয়াতে। আর
এখন সেখানে যাওয়া যাবে এক লক্ষ
ষাট হাজার টাকার মধ্যে।
আমি যাবো মালয়েশিয়ায়
উত্তরমুছুন