হোটেলের খাবারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোগান্তিতে জনসাধারন
খাদ্য-মুল্যের উর্ধ্ব গতিতে হোটেলের খাবারের জন্য দিতে হচ্ছে বাড়তি মূল্য। অতিরিক্ত এই মূল্য দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সীমিত আয়ের অনেকেই। তাই, বাধ্য হয়েই তারা করেছেন খাদ্যাভ্যাস এর পরিবর্তন।
হোটেলের খাবারের মূল্য বৃদ্ধি |
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে নিত্য-পন্যের মূল্য বৃদ্ধি। স্বল্প আয়ের মানুষের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ছে ভাল ভাবে খেয়ে পরে টিকে থাকা। পণ্য মুল্য অধিক হারে বেড়ে যাওয়া ও জনগনের ভোগান্তিতে পড়া এটা খুবই ক্ষতিকর। পণ্য মুল্যের এই অধিক দাম আর ভোক্তা অসন্তোষের দিকে নজর দিতে হবে সরকারের বলে মনে করেন ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান।
কর্মজীবী
মানুষদেরকে প্রয়োজনের তাগিদে খেতে হয় বাড়ির
বাইরে হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টে। আর পণ্য মুল্যের
অধিক বৃদ্ধির কারণে বাড়তি দাম দিতে হচ্ছে
ক্রেতাদের। আর তাই, খাবারের
দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই
পাল্টাচ্ছেন তাদের খাদ্যাভ্যাস।
ভোক্তাদের
দাবি, এখন তারা আগে
এসে দেখেন কোন খাবারের
দাম কম। কম দামি
খাবারই ইচ্ছা-অনিচ্ছায় ক্রয় করে খেতে
হয় তাদের।অনেকে আবার না খেয়ে
কাটাচ্ছেন ১ বেলার খাবার।
সমন্বয় করতে চাইলেও পারছেন না সেটি করতে। জিনিসের
দাম বাড়লেও তাদের বেতন তো আর
বাড়েনি। তাহলে তারা এই বাড়তি
টাকা পাবে কোথায়?
যে খাবারই খেতে যাচ্ছেন তারা, গুনতে হচ্ছে পাঁচ থেকে দশ গুন বেশি দাম। যে সব হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এ দাম কিছুটা কম বাড়িয়েছে তারা আবার সেখানে পরিমান বা মান কমিয়েছে খাবারের। অনেকে বলছেন, দাম বাড়িয়েও আগের মত আর তারা লাভ করতে পারছেন না। কোনো কোনো হোটেল বা রেস্টুরেন্টে বাড়ানো হয়েছে ডিমের দাম আবার অন্যদিকে দামে ঠিক রাখা হয়েছে রুটি-পরটার দাম। কোনো ক্ষেত্রে আবার গরুর মাংসের দাম ঠিক রেখে বাড়ানো হয়েছে বটের দাম।
অতিরিক্ত
দামে যখন ক্রেতাকে খাবার
খেতে হচ্ছে অথবা খাওয়া কমিয়ে
অথবা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে ফেলতে হচ্ছে,
তখন এটিকে অর্থনীতির ক্ষতিকর প্রভাব বলে মনে করছেন
ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলছেন, ব্যক্তি
তো কষ্টে আছে। ব্যক্তি যদি
তার ভোগের পরিমাণ কমায় কিংবা যদি
চাহিদা কমে যায় তাহলে
ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দিতে পারে।
কর্মস্থানে বিরুপ প্রভাব দেখা দিবে। উৎপাদনে
বিরুপ প্রভাব দেখা দিবে। তাই
ব্যক্তি যাতে ভাল থাকে,
তাদের চাহিদা পূরণ হয় এমন
ব্যবস্থা করা গেলে অর্থনীতি
ভাল থাকবে।
পণ্য
আমদানিতে বাড়তি ব্যয় ও দেশীয়
বাজারে পণ্যের মজুদ বাজারমূল্য বাড়িয়ে
তুলছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন তেল, আটা,
ময়দা, চাল, ডাল, গ্যাস
ইত্যাদির দাম যদি আরো
বৃদ্ধি পায় তাহলে বাজার
আরো চাড়াও হওয়ার আশঙ্ক্ষা রয়েছে।
পণ্য
মুল্য এর বৃদ্ধি ঠেকাতে
হলে প্রত্যেককেই তার নিজ নিজ
অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে
হবে। অন্যথায় দিন বদলের পাশাপাশি
বদলে যেতে পারে বাঙালির
স্বাভাবিক জীবন-যাত্রার মান।
আরো
পড়ুনঃ
কোন মন্তব্য নেই