Header Ads

Header ADS

এবার চীন-আমেরিকা উত্তেজিত; তাইওয়ান ইস্যুতে হতে পারে ভয়াবহ যুদ্ধ

তাইওয়ানের জন্য এবার সর্বাত্তক যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে চীন। সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাথে বৈঠক কালে এই হুমকি প্রদান করে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সতর্কতা জানিয়ে বলেন, কোনো শক্তিই তাইওয়ানকে চীন থেকে বিভক্ত করার সাহস দেখালে চীনা বাহিনী যুদ্ধে জড়াতে ভাববে না। পালটা জবাবে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আক্রমণ ঠেকাতে তাইওয়ানের পাশে থাকবে তারা।

 

চীন বনাম আমেরিকা

 এবার চীন-আমেরিকা উত্তেজিত

নিরাপত্তা ইস্যুতে বৈঠক হয় সিঙ্গাপুরে। যেখানে অংশ নেয় চীন, জাপান আমেরিকার প্রতিনিধিরা। তিন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। তবে মুল আলোচনা ছাপিয়ে সবার নজর বা আকর্ষণ ছিল চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের আলাদা করা বৈঠক নিয়ে। সময় মুখোমুখি বৈঠকে অংশ নেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

 

আলোচনার শুরুতেই চীনা প্রতিরিক্ষামন্ত্রী কড়া হুশিয়ারি জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে। বলেন, কোনো বিদেশি শক্তি বা আলাদা রাষ্ট্র তাইওয়ানকে চীন থেকে বিভক্ত করার সাহস দেখালে চীন অবিলম্বে যুদ্ধে জড়াবে। এমনকি তাইওয়ানের যে স্বাধীনতা প্রচেষ্টা সেটাও শেষ করে দেওয়ার কথা বলে  হুমকি দেন তিনি।

 

চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, 'কোনো বাইরের শক্তি যদি তাইওয়ানকে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করে তাহলে যুদ্ধে জড়াতে একটুও দেরি করবে না চীনের সামরিক বাহিনী। তাইওয়ানকে তথাকথিত স্বাধীন করার মত যেকোনো চক্রান্তকে আমরা ধূলিসাৎ করে দেব। এক চীন নীতির উপরে আমরা সবাই দৃঢ় ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাইওয়ান চীনেরই অংশ। একে ব্যবহার করে চীন দমনের চেষ্টা কখনোই সফল হবে না।'

 

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে দক্ষিন চীন সাগর এবং চীনের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা গুলোয় সামরিক উত্তেজনা কমাতে সংশ্লিষ্ট দেশ গুলোকে সাহায্য সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক তারা। চীনের আচরণকে আগ্রাসী মুলক আচরণ বলে আখ্যায়িত করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।  

 

বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, 'তাইওয়ান সহ এশিয়া অঞ্চলের জন্য চীন হয়ে উঠেছে আগ্রাসী। দেশটি অস্থিতিশীল এবং উস্কানিমূলক আচরণ করছে। দক্ষিন চীন সাগরে অন্যান্য দেশের সাথে চীনের যুদ্ধ জাহাজ এবং যুদ্ধ বিমানের বিরোধের ঘটনা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। তাইওয়ান সহ এই অঞ্চলে আমাদের যত মিত্র রয়েছে সবাইকে সহায়তা প্রদান ঠিকই অব্যাহত রাখব।'

 

সম্প্রতি তাইওয়ান ইস্যুকে কেন্দ্র করে সংঘাত বেড়েছে ওয়াশিংটন বেইজিং এর অর্থাৎ আমেরিকা আর চীনের গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আসেন এশিয়া সফরে। সে সময়ে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাইওয়ানের উপর যদি চীন আগ্রাসন মুলক আচরণ করে তাহলে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহন করবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এরপর থেকেই সেই এলাকায় সামরিক সক্ষমতা বাড়ায় চীন। 

   

বর্তমানে চলতি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে প্রথম থেকেই ইউক্রেনকে সাপোর্ট দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই সাপোর্ট কে কেন্দ্র করে এগিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। 


তবে এবার কি বাধতে চলেছে তাইওয়ান-চীন যুদ্ধ? যেখানে সরাসরি ভাবে তাইওয়ানের পক্ষ নিয়ে লড়বে আমেরিকা? সেটায় এখন দেখার।

 

 👉আমাদের এই ফেসবুক পেজটি লাইক ও ফলো করুনঃ  𝐀𝐟𝐭𝐞𝐫𝐋𝐢𝐟𝐞⌛পরকাল

 

আরো পড়ুনঃ



1 টি মন্তব্য:

konradlew থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.