অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ কি, মুক্তির উপায় কি?
অল্প বয়সী তরুণ-তরুনীদের মাথার চুল পাকা বর্তমান সময়ে একটা কমন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে এই সমস্যায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে আবার অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে যায়। তারা বুঝে উঠতে পারে না যে এই চুল পাকার সঠিক কারণ কি । আজকে চুল পাকার কিছু কারণ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে রইলো বিস্তারিত আলোচনা।
অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ |
চুল পাকার সমস্যা নিয়ে আমরা অনেকেই আমাদের সমাজে ইতস্তত বোধ করি। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে বন্ধুদের সামনে লজ্জিত বোধ করে। এর থেকে বাঁচতে অনেকে আবার চুলে কালার বা রঙ করে। তবে সেটা টিকে কত দিন? এরপর ঠিকই আবার পূর্বরূপ ফিরে আসে। তাই, আজকে আগে চুল পাকার কিছু কারণ তুলে ধরা হল। তারপর দেওয়া হল সামাধান।
চুল পাকার ১০ টি কারণঃ
১. এখানে সবার আগে আসে বংশগত সমস্যা বা কারণ। নিজ পরিবারের বা বংশের রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে যদি কারো কখনো চুল পাকার ইতিহাস থেকে থাকে, তাহলে এই সমস্যা হতে পারে।
২. হাইপো থাইরয়েডজমের মত থাইরয়েডের কারণে হরমোন খুব দ্রুত পরিবর্তন হয় এবং চুল পেকে যায়।
৩. ধু্মপানের কারণে চুল পেকে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এতে চুলের গোড়ার রক্তনালি শুকিয়ে যায় এবং চুল পাকতে থাকে।
৪. সেরেটনিন হরমোন এর কারণেও এমন সমস্যা হতে পারে। আপনি যত বেশি হাসিখুশি থাকবেন তত বেশি এই হরমোন উৎপাদিত হবে। কমে গেলে সমস্যা।
৫. ভিটামিনের অভাব সবচেয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দায়ী থাকে। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-১২ ও ভিটামিন ডি এর অভাবে চুল পেকে যায়।
৬. মানসিক চাপ চুল পাকার অন্যতম একটা কারণ। অবসাদ, অশান্তি, দুশ্চিন্তা বা হাইপার টেনশনের কারণেও হতে পারে।
৭. খাবারে ভেজাল ও অতিরিক্ত তেল-চর্বি থাকলে তা চুল পাকার কারণ হতে পারে।
৮. আবার কিছু অটোইমিউন ডিজেজ আছে যার কারণে চুল পেকে যায়।
৯. কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি নেওয়া বা দেওয়া এবং আরো উচ্চ মাত্রার কিছু মেডিসিন নেওয়ার কারণে চুল পাকতে পারে।
১০. অতিরিক্ত প্রসাধনী সামগ্রী যেমন শ্যাম্পু,সাবান ইত্যাদির ব্যবহারের ফলেও পাকতে পারে চুল।
চুল পাকা থেকে বাঁচার উপায়ঃ
১. নিয়ম করে আদা বাঁটা ও মধু খেতে পারেন।
২. পেঁয়াজ বাটা অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। প্রতিদিন পেঁয়াজ বেটে মাথায় ম্যাসাজ করে লাগিয়ে দিয়ে ৩০-৪০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
৩. সবচেয়ে কার্যকরী ও নির্ভরযোগ্য একটি মাধ্যম হল আমলকী। আমলকীর গুড়া ও তেল উভয়ই এক্ষেত্রে কার্যকর। যদি সম্ভব হয় তাহলে, আমলকীর গুড়া ও লেবুর রস এক সাথে করে মিশিয়ে মাখুন এবং ২০-৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। আমলকীর রসে আছে মেলানিন যা চুলকে করে কাজলের ন্যায় কালো।
৪. আরেকটি প্রধান কার্যকর উপায় হল নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবিহার করা। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মেখে শুয়ে পড়ুন আর সকালে উঠে সময়মত ধুয়ে ফেলুন।
৫. গাজরের রস করে খাওয়া যেতে পারে। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি-৬, কে, পটাসিয়াম ও বিটা ক্যারোটিন যা চুলের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে।
৬. কালো তিল নিয়ম মাফিক সেবন করে সমাধান পেতে পারেন।
৭. সেই অনেক পুরোনো আমল থেকে চলে আসছে চুলে মেহেদি ব্যবহারের প্রচলন। চুল ঘন কাল রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার।
৮. কাঁচা ছোলা অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। খালি পেটে সকাল বেলা খেতে পারেন।
৯. বাদামের তেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। খাওয়ার পাশাপাশি তেল বানিয়ে মাখতেও পারেন। উপকার পাবেন।
১০. ধুমপান মুক্ত থাকুন ও যথাসম্ভব দুশ্চিন্তা এড়িয়ে চলুন।
( তবে সমস্যা বেশি বা গুরুতর হলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়াটায় ভাল।)
আমাদের ওয়েব পেজ থেকে সবার আগে সকল আপডেট পেতে চাইলে, নিচের ডান পাশে থাকা লাল সাবস্ক্রাইব বাটনে ক্লিক করুন আর উপরে পপ-আপ বাটনে আশা নোটিফিকেশনে এলাও করে দিন।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন। ধন্যবাদ।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট
আরো পড়ুনঃ
একসাথে ৪০ কন্যার বিয়ে, মানবতার এক মহান প্রতীক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষ, আহত অন্তত ৮ জন
স্বল্প ব্যয়ে আর অল্প পরিসরে অনলাইনে আয় করুন ঘরে বসেই
শেষ হচ্ছে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ।পদ্মা সেতুর বর্তমান অবস্থা ২০২২
nc
উত্তরমুছুন