নেপালে ঘটে গেল ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা, তারা এয়ার লাইন্স
নেপালে ঘটে গেল এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। গতকাল রবিবার স্থানীয় সময় প্রায় ৯ টা ৫৫ মিনিটের দিকে ঘটে ঘটনাটি। বিমানটিতে ছিল মোট ২২ জন আরোহী।
নেপাল বিমান দুর্ঘটনা |
গতকাল সকালে নেপালের পর্যটন শহর পোখাড়া থেকে ২২ জন আরোহী নিয়ে জনসনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে বেসরকারি একটি এয়ারলাইনস তারা। উড্ডয়নের অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই চোখের অগোচরে চলে যায় বিমানটি। কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তারা ব্যাপারটা বুঝতে পারেন। তারা জানান, জনসনের আকাশে অল্প কিছু সময়ের জন্য বিমানটিকে দেখা যায় ঠিকই কিন্তু পরপরই রুট পরিবর্তন করে ধাবল গিরি পর্বত এর দিকে চলে যায়। জনসন বিমানবন্দরে পৌছানোর প্রায় ১৫ মিনিট আগে স্থানীয় নেপালিয়ান সময় সকাল ৯ টা বেজে ৫৫ মিনিট এর দিকে কন্ট্রোল রুমের সাথে বিমানটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর তারা আর কোনো যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি বিমানটির সাথে।
স্থানীয়
ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, জনসনের ঘাসা এলাকায় বিকট
একটা আওয়াজ শুনতে পান তারা। সেনাবাহিনীর
একজন জানিয়েছেন, বিমানটি মানাপাঠি হিমালয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে।
বিমানটিতে ছিল নেপালের ১৩ নাগরিক, ভারতের ৪ নাগরিক ও জাপানের ৩ নাগরিক ছিলেন। আর ছিলেন ৩ কেবিন কুরু এবং পাইলট আর কো পাইলট। এই মোট ২২ জন ছিলেন প্লেনটি।
এ ঘটনার পর দেশের সরকার
সেখানে ২ টি হেলিকপ্টার
পাঠিয়েছেন। উদ্ধার অভিজানে রয়েছে নেপালের সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। ।আশঙ্কা করা হচ্ছে এই
বিমানটির সকল যাত্রীই হয়তোবা
রয়েছেন মুমূর্ষু অবস্থায়।
পরে
বিমানটি পাওয়া যায় নেপালের মুস্তানজেলার
একটি এলাকায় পাহাড়ের নিচে বিধ্বস্ত অবস্থায়। বিমানটির
ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায়।
নিখোঁজ
হওয়া বিমানটি পাইলট এর মোবাইল এর
জিপিএস ধরে অনুসন্ধান করে
খুজে বের করা হয়
বিমানটি। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও
প্লেনটি গতকাল উড়ে আকাশে। তবে ঠিক
কোন কারণে যে এমন ঘটনা
ঘটেছে, তা জানা যাবে ব্ল্যাক-বক্স পাওয়া গেলে।
এঘটনাকে কেন্দ্র করে মনে পড়ে যায় সেই ২০১৮ সালের কথা। ইউএস-বাংলার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে। যেখানে প্রাণ গিয়েছিল মোট ৪৯ জনের।আর সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল আবার।
কোন মন্তব্য নেই