চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে অগ্নিকান্ড - সর্বশেষ পরিস্থিতি
ভোর হতে না হতেই নজর পড়ে পুড়ে দগ্ধ হওয়া সীতাকুণ্ডের সেই আগুনের লেলিহান বিস্তৃত এলাকার দিকে। অল্প কয়েকটি ঘন্টা ব্যবধানে সবকিছু হয়ে গেছে লণ্ডভণ্ড। পুড়ে গেছে প্রায় ১ হাজার কন্টেইনার। আহত হয়েছেন ৪ শতেরও বেশি মানুষ পুড়ে দগ্ধ হয়েছেন ৩৯ জন।
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে অগ্নিকান্ড |
রাত যখন নিঝুম, শ্রমিকরা ঘুম ভরা চোখ নিয়ে ব্যস্ত কাজে তখনই ঘটে ভয়ানক এই বিস্ফোরণ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হতাহত হন অনেকেই। ক্ষয়ক্ষতির বিবেচনা করলে কয়েক লক্ষ টাকার লোকসান হয়েছে কোম্পানির এমনকি কোটিও ছাড়াতে পারে লোকসানের পরিমাণ।
বাংলাদেশ
ও নেদারল্যান্ডস যৌথ ভাবে পরিচালনা
করে সীতাকুণ্ডের এই বি এম ডিপোটি। প্রায়
৪০ একর জমির উপর
প্রতিষ্ঠিত এই ফ্যাক্টরিটি। ছিল
৫০ হাজার কন্টেইনার। সকালে দেখা যায়, কন্টেইনার
ফেটে পাশের এলাকার লোকেদের ঘরের চালে, উঠানে
গিয়ে পড়েছে। এই বিস্ফোরণ এতটাই
ভয়াবহ যে, ফায়ার সার্ভিসের
২৫টি ইউনিট একযোগে কাজ করেও নিয়ন্ত্রণে
আনতে পারেনি আগুন।
পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে এক সাথে কাধে
কাধ মিলিয়ে কাজ করছে ফায়ার
সার্ভিসের সদস্যরা, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক
সংগঠন। সবশেষে নিয়ে আসা হয়েছে
অত্যাধুনিক অগ্নি নির্বাপক মেশিনারিজ।
হতাহতের সংখ্যাঃ
এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন প্রায় ৪ শতের বেশি মানুষ। যাদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। নিহত হয়েছেন ৪৯ জন যার মধ্যে ৭ জন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য।
হে আল্লাহ, আপনি প্রতি পিতা মাতাকে সন্তান হারানোর কষ্ট ধর্য্য ধরার তৌফিক দিন
উত্তরমুছুন