যুদ্ধের প্রথম ১০০ দিনে রাশিয়ার আয় ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার
গত সোমবার বিবিসি নিউজ তাদের এক প্রতিবেদনে জানায় যুদ্ধের প্রথম ১০০ দিনে রাশিয়া বিভিন্ন দেশে তেল ও গ্যাস রপ্তানি করে আয় করেছে প্রায় ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার৷ ইউক্রেনে হামলার প্রথম ১০০ দিনে রাশিয়ার কাছ থেকে ৬১ শতাংশ জীবাশ্ম জালানী কিনেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর দেশ গুলো। যার মূল্য প্রায় ৬ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
যুদ্ধের প্রথম ১০০ দিনে রাশিয়ার আয় ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার
রাশিয়ার যুদ্ধের সময়ও থেমে থাকেনি তাদের ব্যবসা বানিজ্য। যদিও আগের তুলনায় বানিজ্য কিছুটা কমেছে তবে তাদের চেষ্টায় এখনো টিকে আছে বৈদেশিক বাণিজ্য। রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি জীবাশ্ম জালানী আমদানী করেছে চীন, জাপান, জার্মানি এবং ইতালি। যদিও যুদ্ধের আগে ইউরোপের দেশ গুলোতে রাশিয়া তেল সরবরাহ করে আসছিল ২৭ শতাংশ এবং গ্যাস সরবরাহ করে আসছিল ৪০ শতাংশ।
তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন চলতি মাসে ঘোষণা দিয়েছিল রাশিয়া থেকে তারা দুই-তৃতীয়াংশ অপরিশোধিত তেল আমদানী কমিয়ে দিবে। কিন্তু, তার কার্যকারিতা এখনো দেখা যায়নি। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশই রাশিয়ার দেওয়া জালানির উপর নির্ভরশীল। রাশিয়ার জীবাশ্ম জালানির আয়ের বেশিরভাগই আসে অপরিশোধিত তেল বিক্রয় করে। আর এর পরেই রয়েছে গ্যাস, পরিশোধিত তেল, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লা।
তবে এত কিছুর পরেও গত মে মাসে কমে যায় রাশিয়ার রপ্তানি। ইউক্রেনে হামলাকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার গ্যাস, তেল ও অন্যান্য জীবাশ্ম জালানির উপর সম্পুর্ন রুপে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত রাশিয়া থেকে তেল আমদানির নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্যও। কিন্তু জীবাশ্ম জালানির দাম বাড়ার কারণে এখন রপ্তানি ও রাজস্ব এই দুই ক্ষেত্রেই আয়ের রেকর্ড গড়ে ফেলেছে রাশিয়া।
এক প্রতিবেদনে বলা হয় রাশিয়ার
গড় রপ্তানি মুল্য গত বছরের তুলনায়
প্রায় ৭ শতাংশ বেড়েছে।
দেশটির কাছ থেকে জালানি
কেনার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে চীন, ভারত, সংযুক্ত
আরব আমিরাত, ফ্রান্স সহ আরো কয়েকটি
দেশ।
👉আমাদের এই ফেসবুক পেজটি লাইক ও ফলো করুনঃ 𝐀𝐟𝐭𝐞𝐫𝐋𝐢𝐟𝐞পরকাল
আরো পড়ুনঃ
পদ্মা সেতুতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি দিয়ে তৈরি হবে জাদুঘর; শেখ হাসিনা
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হলেও বন্ধ হবে না ফেরি চলাচল; বিআইডব্লিউটিসি
আগে থেকেই কবর খুড়ে রেখেছিল ইউক্রেন; ইউক্রেন বনাম রাশিয়া
কোন মন্তব্য নেই