Header Ads

Header ADS

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অস্ত্র সহায়তা চায় ইউক্রেন; রাশিয়া-ইউক্রেন সর্বশেষ খবর

ইউক্রেনের দোমবাস এলাকায় ইউক্রেন রুশ বাহিনীর চলছে ঘোরতর লড়াই। রুশ বাহিনীর অবিরাম গোলাবর্ষণের কারণে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দোমবাসের বেশ কিছু অঞ্চল। শহরটির আরো গভীরে ঢুকে পড়েছে রুশ বাহিনি। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার বাহিনীকে ঠেকাতে ন্যাটো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দূর পাল্লার মাল্টিপল রকেট সিস্টেম "এম এল আর এস" এর সরবরাহের জন্য সহায়তা চেয়েছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভোলোদিমির জেলেনস্কি।

 

রাশিয়া-ইউক্রেন সর্বশেষ খবর

রাশিয়া-ইউক্রেন সর্বশেষ খবর


ইতিমধ্যে ইউক্রেনীয় সেনারা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া "এম ৭৭৭" হাই ইজ্জার লঞ্চার। এটি ২৫ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। কিন্তু রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে টিকে থাকতে হলে তাদের লাগবে আরো অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি। আর তাই ইউক্রেনীয় সেনারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন উন্নত রকেট লঞ্চার "এম এল আর এস" পাওয়ার জন্য। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র তাদের দাবি মেটানোর আশ্বাস দিয়েছে। 

 

এম এল আর এস কি?

 

এম এল আর এস হল সামরিক যানে বসানোর জন্য অত্যাধুনিক একটি রকেট লঞ্চার। এটি বহন করাও সহজ। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দুই ধরনের "এম এল আর এস" রয়েছে। একটির মডেল হল"এম ২৭০", যা ১৯৮৩ সালে প্রথম তৈরি করা হয়েছিল। ২০-৪০ মাইল দূরের লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত হানতে পারে এই লঞ্চারটি।দ্বিতীয় টি হল "এম ১৪২" হিমার্স, যেটি ১৯৯০ এর দশকে উদ্ভাবন হয়। এটি সাধারণ রকেট সহ ১৮৬ কিলোমিটার দূরবর্তী বস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এছাড়াও বিশেষ গোলা ব্যবহার করে ৩১০ মাইল দূরের লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। 

 

কেন ইউক্রেন অত্যাধুনিক অস্ত্র সহায়তা চায়?

 

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দোমবাসকে রাশিয়ার বাহিনীর হাত থেকে বাচাতে ব্যস্ত ইউক্রেনীয় বাহিনী। কিন্তু, রুশ বাহিনীর আছে অত্যাধুনিক সব অস্ত্র আর লঞ্চার। আর তাই, তাদের সামনে গিয়ে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে দরকার এই সব লঞ্চার। আর যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে এসব অস্ত্র সহায়তা পাঠায়, তাহলে অনেক দূর থেকেই রুশ হামলা ঠেকাতে পারবে ইউক্রেনীয় সেনারা।

 

যুক্তরাষ্ট্র এখনো কেন এম এল আর এস পাঠাচ্ছে না?

 

ইউক্রেন বার বার "এম এল আর এস" সহায়তা চাইলেও তার সরবরাহ করতে এখনো রাজী নয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। কারণ, ইউক্রেনকে ধ্বংসাত্মক আর অত্যাধুনিক এসব অস্ত্র আর লঞ্চার পাঠালে পাঠালে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের খারাপ সম্পর্কের সৃষ্টি হতে পারে। তাদের এই সিদ্ধান্তকে উস্কানি হিসেবে দেখতে পারে মস্কো। মস্কোর সঙ্গে কোনো মতেই সংঘাতে জড়ায়ে চায়না যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো। জো বাইডেন জানান, ইউক্রেনকে তাদের আত্মরক্ষার জন্য বিভিন্ন ভারী অস্ত্র দেওয়া যেতে পারে তবে রাশিয়ার ভুখন্ডে ব্যবহারের জন্য নয়।   

 

এখন শুধু দেখার বিষয় যে, ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্র তাদের "এম এল আর এস" সহায়তা দেয় কি না।


👉আমাদের এই ফেসবুক পেজটি লাইক ও ফলো করুনঃ  𝐀𝐟𝐭𝐞𝐫𝐋𝐢𝐟𝐞⌛পরকাল

 
আরো পড়ুনঃ




কোন মন্তব্য নেই

konradlew থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.