Header Ads

Header ADS

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আতঙ্ক । বাংলাদেশ ও বিশ্ব

 

COVID-19


করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আতঙ্ক



করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আতঙ্ক । বাংলাদেশ ও বিশ্ব


করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পুরো পৃথিবী কাঁপিয়ে এখন কিছুটা শান্ত।তবে শান্ত রূপ নেওয়ার আগে অশান্ত করে গেছে পুরো দুনিয়া বাসিকে।কেড়ে নিয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষের প্রাণ। কেটে গেছে খুব কঠিন মুহূর্ত। আজকে চলুন জেনে নেই এই করোনা ভাইরাসের বিস্তারিত আলোচনা।

 
উৎপত্তিঃ

---------------

করোনা  ভাইরাসের উৎপত্তি হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে, চীনের উহান প্রদেশে। আর এরই  ধারাবাহিকতায় এই ভাইরাসের নাম দেওয়া  হয় কোভিড ১৯(COVID-19)।প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মারাত্মক রুপ ধারণ করে এই ভাইরাসটি।অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে পুরো বিশ্বে। এত দ্রুত গতি সম্পন্ন ভাইরাস এই যুগের কেউ দেখেনি এর আগে। চীনে উৎপত্তি হওয়ার পর এটা তার প্রভাব বিস্তার শুরু করে দেয় কানাডা, জার্মান, ইটালি, ব্রাজিল, স্পেন সহ আরো অনেক দেশে। আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারত আক্রান্ত হওয়ার অল্প কয়েক দিন পরেই আক্রন্ত হয় আমাদের দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সনাক্ত হয় ২০২০ সালের, ৮ই মার্চ। এর কয়েক দিন পরেই বাংলাদেশে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। আর তাই এই মাসের শেষের দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এবং দফায় দফায় বাড়তে থাকে এই ছুটির মেয়াদ। প্রায় ২ বছর বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়া হয় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 

কোভিড-১৯ নিয়ে আরো তথ্যঃ


⃠  করোনায় বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা--৫২ কোটি ৫০ লক্ষ

⃠   করোনায় বিশ্বে মোট মৃতের সংখ্যা--৬২ লক্ষ ৮০ হাজার

  করোনায় বাংলাদেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা--১৯ লক্ষ ৯৫ হজাজার

⃠  করোনায় বাংলাদেশে মোট মৃতের সংখ্যা--২৯১২৮জন

⃠  করোনা আক্রান্তে বিশ্বে প্রথম--আমেরিকা

⃠  করোনা আক্রান্তে বিশ্বে দ্বিতীয়--ভারত

⃠  করোনা আক্রান্তে বিশ্বে তৃতীয়--ব্রাজিল

⃠  করোনায় মৃতের সংখ্যায় বিশ্বে প্রথম--আমেরিকা

⃠  করোনায় মৃতের সংখ্যায় বিশ্বে দ্বিতীয়--ব্রাজিল

⃠  করোনায় মৃতের সংখ্যায় বিশ্বে তৃতীয়--ভারত


বিশ্বের বড় বড় সব দেশে অনেক অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে। তবে উল্লেখ্য যে, যে চীনে এই মহামারির উৎপত্তি সেখানে এর আক্রান্ত ও মৃতের উভয়ের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম। চীনের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লক্ষ ৮০ হাজার আর  মৃতের  সংখ্যা ৫২২২ জন। 

টীকাঃ


এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর টীকা আবিষ্কার করতে সময় লেগেছে প্রায় ২ বছর। মার্কেটে এখন অনেক কোম্পানি বা দেশের টীকা পাওয়া যায়।



  টীকা উৎপাদনকারী দেশ বা প্রতিষ্ঠান  সমূহ

                                 -----------------------------------------------------------------------------



 - টিকার নাম-         -ধরণ-                   - ডোজ-         - কার্যকারিতা-        -উৎপাদনকারি দেশ বা প্রতিষ্ঠান 

PFIZER                    mRNA                    ২টা               ৯০-৯৪%                 আমেরিকা-জার্মান 

MODERNA             mRNA                    ২টা               ৯০-৯৪%                  আমেরিকা
 
JANSSEN               Viral Vector             ১টা                ৭০-৮৫%                 আমেরিকা-বেলজিয়াম

ASTRAZENECA   Viral Vector             ২টা                ৭০-৯০%                  ইংল্যান্ড-সুইডেন

SPUTNIK V           Viral Vecto               ২টা                ৮৫-৯০%                 রাশিয়া
  
SINOVAC               Inactivated Virus     ২টা                ৬৭-৭৫%                 চীন

NOVA VAX             Protien Based          ২টা               ৮৫-৮৯%                 আমেরিকা
 
COVAXIN              Inactivated Virus      ২টা                ৭০-৮০%                 ভারত 


আমাদের বাংলাদেশে ফাইজার(PFIZER) ও এস এফ চাইনা(SF CHINA) এই দুইটা ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। এর নিয়ম হল প্রথম ডোজ নেওয়ার ১ মাস পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয় আর তার ৩-৬ মাস পর নিতে হয় তৃতীয় ডোজ।

আমার এই লেখাটা ভাল লেগে থাকলে একটা কমেন্ট করবেন ও বন্ধুদের কাছে শেয়ার করবেন।
ধন্যবাদ।              



কোন মন্তব্য নেই

konradlew থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.