বাড়ল ডিমের দাম, আজকের বাজার ২০২২

বাজারের মাছ কিংবা মাংসের চাহিদা পূরণ করতে ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা হল ডিম। মধ্যবিত্ত বা গরিব পরিবারে মাছ-মাংসের যোগান না থাকলেও থাকে ডিমের যোগান। কিন্তু, বাজারে যে হারে বাড়ছে ডিমের দাম, এতে করে ডিম কিনে খাওয়ার সাধ্য হারাতে পারে অনেকে। 

 

বাড়ল ডিমের দাম 

বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২ হাজার কোটি ডিম উৎপাদন করা হয় যার বেশিরভাগই আসে পোল্ট্রি মুরগি থেকে। আর বাকি অংশ আসে হাস ও মুরগি থেকে। তবে সম্প্রতি উর্ধ্বমুখী হয়েছে ডিমের বাজার। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ডিম প্রতি দাম বেড়েছে ২ টাকা। এতে ক্রয় ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে মধ্য-নিম্ন স্তরের মানুষ। 

 

বরাবরই সংরক্ষণ জনিত সমস্যার কারণে গরমের সময় দাম কমে ডিমের। কিন্তু এ বছর পালটে গেছে চিত্র। দাম কমার বদৌলতে বেড়েছে ডিম প্রতি ২ টাকা দাম। এতে ক্ষুব্ধ জনসাধারণ। কারণ প্রানিজ আমিষের কম দামী পণ্য হল ডিম। আর সেই ডিম যদি কিনতে হয় অসম্ভব দামে তাহলে মানুষ আর খাবে কি? 

 

ঈদের আগেও ডিমের বাজার ছিল বেশ স্থিতিশীল। কিন্তু, হঠাৎ করেই বেড়ে গেল ডিমের দাম। ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা ডজন দরে আর দেশি মুরগী ও হাসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন প্রতি ১৮০ টাকা। যেখানে প্রতি পিচ ডিমের দাম পড়ে ১৫ টাকা। ডিমের বাজারের এই অস্থিতিশীলতার কারণে ডিম কিনতে হিমশিম খাচ্ছে অনেকেই। প্রশ্ন হচ্ছে কেন এই বাড়তি দাম? এর পেছনের কারণ কি?

 

খুচরা ব্যাবসায়ীদের অভিযোগ এর শেষ নেই এই প্রশ্নের জবাবে। অভিযোগের তীর ছুড়ছেন খামারী ও আড়তদারদের দিকে। আর খামারীরা বলছেন, দাম বাড়ার পেছনের কারণ হল বৈরী আবহাওয়া। তাছাড়াও তারা বলছেন পোল্ট্রি ফিডের দাম এখন চড়া। পাশাপাশি বেড়েছে ঔষধের দাম। তারা বলছেন খাদ্যের দাম যে হারে বেড়েছে সেই হারে বাড়েনি ডিমের দাম। বাধ্য হয়েই তারা বাড়াচ্ছে ডিমের দাম।

 

উল্লেখ্য যে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছিল ডিমের বাজার। চলতি বছরে ডিম উৎপাদন এর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৬ শত ৬৬ কোটি পিচ। যদিও আশা করা হচ্ছে খুব দ্রুতই কমবে ডিমের দাম। না হলে আমিষের অভাব নিয়েই দিন কাটবে নিম্ন ও মধ্য বিত্তদের।

আরো পড়ুনঃ

গ্রীসের তেলবাহী দুটি জাহাজ আটক করল ইরান, পাল্টাপাল্টি জবাব

গাঁজা দিয়ে তৈরি হত চকলেট, ৫ কেজির গাঁজায় ১ কেজি গাঁজার চকলেট

যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় ইউক্রেন, রাশিয়া বনাম ইউক্রেন যুদ্ধ